সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বাঙালির বড় উৎসব দুর্গা উৎসব। পূজোয় নতুন জামা কাপড় পরে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। যারা বিভিন্ন শপিংমল, বড় দোকান থেকে জামা- কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে তারা কিনছে। যাদের পূজোয় নতুন জামা কাপড় কেনার স্বপ্ন আছে। কিন্তু কিনতে পারছে না। তাদের কি হবে। তাদের কথা ভেবেছেন বৈদ্যবাটী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী স্মরণ ভৌমিক (তপা)। শুধু পুজো নয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত থাকেন তিনি। স্মরনবাবুর ছোট বেলা কেটেছে আর্থিক অনাটনে। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাবার পরিশ্রম। বড় হবার সাথে সাথে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। ছোট বেলা থেকে সংগ্রাম করে বড় হওয়া। বড় ব্যবসায়ী হলেও পূরোনো দিনের কথা মনে আছে স্মরণবাবুর। কেউ ডাক্তার দেখাতে পারছে না, আবার কারো সংসার চলছে না। এই ধরনের কথা কানে এলেই। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সামনে দূর্গা পূজো। নতুন জামা কাপড় কিনতে পারছে না বহু মানুষ। সেই কথা শোনার পর। নিজে, সেই সব বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। রবিবার সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না বলে নিজের বাড়িতে ডাকেন তিনি। সরন ভৈমিকের বাড়িতে আসা মানুষজন বুঝতে পারে আসল রহস্য। সবার মুখে ফুটে উঠে আনন্দের ছবি।২০ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। বৈদ্যবাটী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ৭০ জনের বেশী মানুষকে দিয়েছেন। নতুন শাড়ি, নতুন জামা, পাশাপাশি রাতে বাড়িতে গিয়ে যাতে না কিছু তৈরী করতে হয়। সেই কথা চিন্তা করে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হয়। উপহার পেয়ে খুশী সকলেই। স্মরণ ভৌমিক বলেন দশ বছর ধরে আমি এটা করে আসছি। মানুষের পাশে থাকতে পারছি। এর থেকে বড় কিছু হয় না।