উৎসবের প্রাক্কালে মানবিক উদ‍্যোগ : ব‍্যবসায়ীর বস্ত্র দান দুঃস্থদের

19th October 2020 9:03 am হুগলী
উৎসবের প্রাক্কালে মানবিক উদ‍্যোগ : ব‍্যবসায়ীর বস্ত্র দান দুঃস্থদের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বাঙালির বড় উৎসব দুর্গা উৎসব। পূজোয় নতুন জামা কাপড় পরে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। যারা বিভিন্ন শপিংমল, বড় দোকান থেকে  জামা- কাপড় কেনার সামর্থ্য আছে তারা কিনছে। যাদের পূজোয় নতুন জামা কাপড় কেনার স্বপ্ন আছে। কিন্তু কিনতে পারছে না। তাদের কি হবে। তাদের কথা  ভেবেছেন বৈদ্যবাটী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী স্মরণ ভৌমিক (তপা)। শুধু পুজো নয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত থাকেন তিনি। স্মরনবাবুর ছোট বেলা কেটেছে আর্থিক অনাটনে। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাবার পরিশ্রম। বড় হবার সাথে সাথে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। ছোট বেলা থেকে সংগ্রাম করে বড় হওয়া। বড় ব্যবসায়ী হলেও পূরোনো দিনের কথা মনে আছে স্মরণবাবুর। কেউ ডাক্তার দেখাতে পারছে না, আবার কারো সংসার চলছে না। এই ধরনের কথা কানে এলেই। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সামনে দূর্গা পূজো। নতুন জামা কাপড় কিনতে পারছে না বহু মানুষ। সেই কথা শোনার পর। নিজে, সেই সব বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। রবিবার সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না বলে নিজের বাড়িতে ডাকেন তিনি। সরন ভৈমিকের বাড়িতে আসা মানুষজন বুঝতে পারে আসল রহস্য। সবার মুখে ফুটে উঠে আনন্দের ছবি।২০ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।  বৈদ্যবাটী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ৭০ জনের বেশী মানুষকে দিয়েছেন। নতুন শাড়ি, নতুন জামা, পাশাপাশি রাতে বাড়িতে গিয়ে যাতে না কিছু তৈরী করতে হয়। সেই কথা চিন্তা করে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হয়। উপহার পেয়ে খুশী সকলেই। স্মরণ ভৌমিক বলেন দশ বছর ধরে  আমি এটা করে আসছি। মানুষের পাশে থাকতে পারছি। এর থেকে বড় কিছু হয় না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।